December 22, 2024, 10:42 pm
দৈনিক কুষ্টিয়া ডেস্ক /
পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ ঘোষণা করেছে ভারত। আর এটি এমন একটি দিনে করল যখন ঐ দিনই বাংলাদেশ থেকে ভারতে রফতানি হয়েছে ১২ মেট্রিক টন ইলিশ। এমনটি ভারত করেছিল গত বছরও। গত বছরও ১০ অক্টোবর ৫০০ টন ইলিশ পায় ভারত। ঠিক পর মুহুর্তেই ভারতের কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের ঘোষণায় বলা হয়, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানি নীতিমালায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। তাই এখন থেকে সব ধরনের পেঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধ করা হল, যা তাৎণিকভাবে কার্যকর হবে।
এবারও ঠিক তাই ই ঘটল। ভারত ইলিশ পেল ১৪ সেপ্টেম্বর। ঐ দিনই বন্ধ করে দিল পেঁয়াজ রফতানী।
পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ ঘোষণা করায় বেনাপোলের ওপারে পেট্রাপোলে আটকা পড়েছে পেঁয়াজভর্তি প্রায় ১৫০টি ট্রাক। একই অবস্থা অন্যান্য স্থলবন্দরেও। ভারতের শুল্ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সোমবার কিছু নীতিগত পরিবর্তন হওয়ার কারণে পেঁয়াজের রফতানি বন্ধ করা হয়েছে।
সোমবার সকাল থেকে সাতক্ষীরার ভোমরা বন্দর দিয়ে কোনো পেঁয়াজের গাড়ি বাংলাদেশে প্রবেশ করেনি। বেনাপোল বন্দর দিয়ে সকালে ৫০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ প্রবেশের পরই দেশের সবগুলো বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয় ভারতের পেঁয়াজ রফতানিকারকদের সংগঠন। বিকেলে দুই ট্রাক পদ্মার ইলিশ ভারতে রফতানি হলেও পেঁয়াজ বাংলাদেশে রফতানি করেনি ভারত।
পেট্রাপোল রফতানিকারক সমিতির ব্যবসায়ী কার্তিক ঘোষ বলেন, পেঁয়াজ রফতানিকারক সমিতি সিদ্ধান্ত নিয়েছে ৭৫০ মার্কিন ডলারের নিচে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি করবে না। সে কারণে অনেকগুলো পেঁয়াজভর্তি ট্রাক বর্ডারে দাঁড়িয়ে আছে।
বেনাপোলের পেঁয়াজ আমদানিকারক রফিকুল ইসলাম রয়েল বলেন, ভারতের সঙ্গে আমদানি বাণিজ্য শুরুর পর থেকে ২৫০ মার্কিন ডলারে পেঁয়াজ আমদানি হয়ে আসছে। ভারতে বন্যার কারণে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় রফতানিকারকরা স্থানীয় বাজার দর হিসাবে ৭৫০ ডলারের নিচে বাংলাদেশে পেঁয়াজের রফতানি করবে না। এজন্য পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দিয়েছে ভারত।
ভারতের বনগাঁ এলাকার পেঁয়াজ ব্যবসায়ী অনিল মজুমদার বলেন, বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি করতে আমাদের আপত্তি নেই। বাজার দরে এলসি পেলে পুনরায় রফতানি শুরু হবে। সেক্ষেত্রে পুরোনো যেসব এলসি দেয়া আছে সেগুলো ২৫০ মার্কিন ডলার সংশোধন করে সংশোধিত মূল্যে এবং নতুন এলসি ৭৫০ মার্কিন ডলার করা হলে পেঁয়াজ রফতানি শুরু হবে।
বেনাপোল কাস্টম হাউসের কমিশনার আজিজুর রহমান বলেন, ভারত কোনো ঘোষণা ছাড়াই মূল্যবৃদ্ধির দাবিতে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দিয়েছে। পারস্পরিক বাণিজ্যে সমঝোতার বিকল্প নেই। তারা রফতানি বন্ধ না করে পেঁয়াজের আমাদানিকারকদের সময় বেঁধে দিতে পারতেন। হঠাৎ করে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া ঠিক হয়নি।
Leave a Reply